বিএনপিকে নির্মূল করার জন্য একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, প্রশাসন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের সরিয়ে আওয়ামী লীগ বা জামায়াতপন্থীদের বসানো হচ্ছে।
সোমবার (১২ মে) এক আলোচনা সভায় এমন অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘সচিবালয়ের ভেতরে কী ঘটছে? ফ্যাসিস্ট দলের অনুসারীরা এখনও নিজের জায়গায় আছেন। যাদের কারাগারে থাকার কথা ছিল—তারা এখন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ শাসনামলে সচিব ছিলেন এবং এখনও একই পদে আছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, আবার, বিএনপির আমলে প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখনও অবসর নেননি, তাদের এখন উপেক্ষা করা ও দূরে রাখা হচ্ছে।
বিএনপির প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস বলেন, বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে উপেক্ষা করা শুরু হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো বিএনপির প্রভাব দূর করা। ‘বিএনপি-সমর্থিত কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অথবা অন্তত জামায়াতে ইসলামীর অনুগতদের পদ দেওয়া হচ্ছে; এই ধারা এখন থানা, আদালত এবং সচিবালয়ের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি-নির্মূলের এই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খুনের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়।
দেশে অনেক বিদেশিদের আগমন ঘটেছে দাবি করে তিনি বলেন, 'সন্দেহভাজন বিদেশিদের আগমন ঘটেছে, বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন মিশন নিয়ে আসছে। আমার ধারণা, এই সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই অপকর্মগুলো করছে। এই মুহূর্তে এই সরকারকে আমি অন্তত নিরপেক্ষ ভাবতে পারছি না।'
'সরকার কারও পারপাস সার্ভ করছে, এই সরকার কোনো পরিস্থিতিতেই জনগণবান্ধব কিংবা দেশপ্রেমিক সরকার নয়। আমি পরিষ্কার ভাষায় এটা বলতে চাই—আমার দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন? আমার প্রশ্নগুলো জবাব দিয়ে এই সরকারকে প্রমাণ করতে হবে তারা দেশপ্রেমী সরকার।'