ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল সীমান্ত দিয়ে মধ্যরাতে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুশ-ইনের খবর পেয়ে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দ্রুত সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয়। একই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মসজিদে মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানালে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী গ্রামের শতাধিক মানুষ সীমান্তে জড়ো হয়। ফলে সংঘর্ষ ছাড়াই বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটে।
সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “বিজিবির কাছ থেকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা মাইকিং করি, তখন গ্রামবাসীরা ছুটে আসে।” আরেক ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, “বিএসএফ চুপিচুপিই লোক ঢোকানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু বিজিবি ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তাদের হটতে হয়।” বিজয়নগরের ইউএনও সাধনা ত্রিপুরা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও প্রশাসন ও বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগেই সতর্ক ছিলাম। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বড় ধরনের ঘটনা এড়ানো গেছে।”
এই ঘটনার পর সীমান্তে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।