নাটোরের বড়াইগ্রামে ধর্ষণের পর নির্মম হত্যার শিকার শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে পরিবারটিকে এই সহায়তা পাঠান তারেক রহমান। পাশাপাশি এই ঘটনায় ন্যায়বিচার পেতে শিশুর পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে তারেক রহমানের নির্দেশে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ওই শিশুর বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে শিশুটির পরিবারকে তারেক রহমানের পাঠানো ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এছাড়া, আইনিসহ সব ধরনের সহায়তারও আশ্বাস দেন। এ সময় নিহত শিশুর মা মোমেনা খাতুন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখে উপলক্ষে বেড়াতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয় প্রবাসী জাহেরুল ইসলামের ৭ বছরের শিশুকন্যা। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মুখমণ্ডল অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার পর পাবনার হরিপুরের একটি ভুট্টা খেতে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘শিশুটির বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলায় (নাটোর) হলেও লাশটি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাবনার চাটমোহর এলাকায় পাওয়া গেছে। ফলে এই অপরাধটির মামলা চাটমোহর থানায় নেওয়া হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশও যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত দল মাঠে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’