গত ১৫ বছর জনগণের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে জীবন্ত কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। কেউ কিছু বলতে পারেনি তাই অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে লালমনিরহাট, কালেক্টরেট মাঠের এক জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন এমনভাবে করতে হবে, যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।
জামায়াত আমীর আরও বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার আর অন্যটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার। এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’ প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।’
আগামীর শাসন ব্যবস্থা নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র বাধ্য করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি করতে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মহিলাদের সম্মান ও নিরাপত্তা দুটি নিশ্চিত হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে কিন্তু ফ্যাসিবাদরা বিদায় হয়নি। এখনও কিছু কু–রাজনীতক চাঁদাবাজি–দখলবাজি করছে। যারা দেশকে ভালোবাসে তারা দেশ ছেড়ে পালায় না, মালোয়শিয়ায় বেগম পাড়া গড়ে তুলবে না।’
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলালসহ লালমনিরহাট জেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।